শিয়ারা যে কারনে কাফের (দলিল প্রমানসহ)

শিয়ারা যে কারনে কাফের (দলিল প্রমানসহ)

শিয়াদেরকে রাফেজীও বলা হয়। কারো মতে শিয়া বা রাফেজীরা ২০ দলে বিভক্ত, কারো মতে ৩২ দলে বা শাখায় বিভক্ত। দল যতটাই হোক না কেন, তারা মূলে এক আক্বীদাতেই বিশ্বাসী।তাদের মূল দল হলো- ইছনা আশারিয়াহ শিয়া। খোমেনীসহ বর্তমান ক্ষমতাশীন দল এ ফেরকারই অন্তর্ভূক্ত। নিম্নে শিয়াদের মূল দল ইছ্না আশারিয়া সম্প্রদায়ের কতিপয় জঘণ্য ও কুফরী আক্বীদা তুলে ধরা হলো-


# শিয়া ইমাম সম্পর্কে খোমেনীর আক্বীদা
আমাদের (শিয়া ইছনা আশারিয়া) মায্হাবের জরুরী আকায়েদের অন্যতম এই যে, আমাদের ইমামদের এমন মর্তবা ও স্তর অর্জিত আছে, যে মর্তবা বা স্তর কোন নৈকট্যশীল ফেরেশ্তা এবং নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরও নাই। (আল হুকুমাতুল ইসলামিয়াহ, পৃষ্ঠা-৫২)
সৃষ্টি জগতের প্রতিটি কণার উপর ইমামগণের আধিপত্য রয়েছে [আল হুকূমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ ৫২]

# সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ সম্পর্কে শিয়াদের আক্বীদা
রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওফাতের পর তিনজন ব্যতীত (সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ সকলেই মুরতাদ, ধর্মত্যাগী হয়ে যান। (রাবী বলে) আমি আরজ করলাম সেই তিনজন কে? তিনি বলেন, মেকদাদ ইবনুল আস্ওয়াদ, আবূজর গিফারী এবং সালমান ফার্সী, তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত ও বরকত হোক। (আল জামিউল কাফী- কিতাবুর রওজা, পৃষ্ঠা-১১৫)

# হযরত আবূ বকর(রাঃ) সম্পর্কে শিয়াদের বিশিষ্ট ইমাম ও মুজ্তাহিদ খোমেনীর আক্বীদা
সে (হযরত আবু বকর(রাঃ) ইহুদির কথা অনুসারে কলেমায়ে তাওহীদ ও কলেমায়ে রেসালত প্রকাশ্যে মূখে উচ্চারণ করেছিল এই আশায় ও লোভে যে, সম্ভবতঃ রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে শাসন ক্ষমতা ন্যস্ত করবেন। মনের মধ্যে সে কাফেরই ছিল। (আয়াতে বাইয়্যিনাত পৃষ্ঠা-৮৫ অনুরূপ রজয়্যিাহতে উল্লেখ আছে)

অথচ রাসুল(সাঃ)এর সাথে হিজরতকারী হচ্ছেন আবু বকর(রাঃ) এবং আল কুরআনের আয়াত, সূরা আত তাওবাহ 9:100
আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনছারদের মাঝে পুরাতন, এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ সে সমস্ত লোকদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন কানন-কুঞ্জ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত প্রস্রবণসমূহ। সেখানে তারা থাকবে চিরকাল। এটাই হল মহান কৃতকার্যতা।

# হযরত ওমর (রাঃ) সম্পর্কে শিয়াদের পরস্পর বিরোধী আক্বীদা
খোমিনী তার কুখ্যাত [কাশফুল আসরার] গ্রন্থে হযরত উমর ফারুক (রাঃ) কে অত্যন্ত কর্কশ ভাষায় কাফির ও যিন্দিক আখ্যায়িত করেছে ! [পৃঃ ১১৯]
শিয়ারা ওমর(রাঃ)কে কাফের মনে করে এবং আলী(রাঃ)কে নিষ্পাপ ইমাম মানে। তা সত্বেও তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবিক- আলী(রাঃ) নিজ মেয়ে উম্মে কুলসুমকে (হাসান ও হুসাইনের সহোদর বোন) ওমর(রাঃ) নিকট বিয়ে দেন !
(এ বিয়ে শিয়াদের বড় আলেমদের নিকটও স্বীকৃত, দেখুন : ‘আল-কুলাইনি ফিল কাফি ফিল ফুরু’ : (৬/১১৫), আততুসি ফি তাহজিবিল আহকাম, বাবু আদাদিন নিসা : (খ.৮/পৃ.১৪৮) ও (খ.২/পৃ.৩৮০), আত-তুসির রচনা ‘আল-ইসতেবসার’ : (৩/৩৫৬), আল-মাজেন্দারানি ফি মানাকিবে আলে-আবি তালেব : (৩/১২৪), আল-আমেলি ফি মাসালিকিল আফহাম : (১/কিতাবুন নিকাহ), মুরতাজা আলামুল হুদা ফিশ-শাফি : (পৃ.১১৬), ইব্‌ন আবিল হাদিদ ফি শারহে নাহজিল বালাগাহ : (৩/১২৪), আরদবিলি ফি হাদিকাতিশ শিয়াহ : (পৃ.২৭৭), শুশতরি ফি মাজালিসিল মুমিনিন : (পৃ.৭৬-৮২), আল-মাজলিসি ফি বিহারিল আনওয়ার : (পৃ.৬২১), আরো বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন আবু মুয়াজ ইসমায়েলীর রচনা : “যিওয়াজু ওমর ইব্নুল খাত্তাব মিন উম্মে কুলসুম বিনতে আলী ইব্‌ন আলী তালিব হাকিকাতান লা ইফতিরাআন”)
এ থেকে শিয়াদের দুইটি সিদ্ধান্তের একটি অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে, যার বাস্তবতা তাদের জন্য খুবই তিক্ত ও বিরক্তিকর:
এক. হয়তো আলী(রাঃ) নিষ্পাপ বা মাসুম নন, কারণ তিনি নিজ মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন কাফেরের সাথে!!!, এটা শিয়াদের মূলনীতি বিরোধী।
দুই. অথবা ওমর(রাঃ) মুসলিম!
এ দু’টি প্রশ্ন শিয়াদের নিরুত্তর করে দেয়।

# আলী(রাঃ) নেতৃত্ব সম্পর্কে শিয়াদের আকীদাঃ
শিয়ারা দাবি করে আলী (রা:) ছিলেন ওসিয়তকৃত আল্লাহর খলিফা ।শিয়ারা পূর্ববরতী খলিফাদের এই বলে গালিগালাজ করে যে তাঁরা নাকি আলী (রা) এর খিলাফাতকে আত্মসাৎ করেছে । নায়ুজুবিল্লাহ । শিয়ারা ধারণা করে যে, গাদিরে খুমে হাজারো সাহাবি উপস্থিত ছিল, যারা সকলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওসিয়ত শ্রবণ করেছে যে, তার মৃত্যুর পর আলী ইব্‌ন আলী তালিব সরাসরি খিলাফত লাভ করবে।
তাহলে সে হাজারো সাহাবি থেকে কেন একজন উপস্থিত হয়নি এবং আলী(রাঃ) পক্ষ নেয়নি, না আম্মার ইব্‌ন ইয়াসার, না মিকদাদ ইব্‌ন আমর, না সালমান ফারসি না বেলাল না আব্বাস –রাদিয়াল্লাহু আনহুম।
তারা কেন বলেনি : হে আবু বকর, তুমি কেন আলীর খিলাফাত আত্মসাৎ করছ। তাহলে তারাও কি আত্মসাৎকারীর পক্ষ নিল?
তাহলে আলী(রাঃ) যখন জানেন যে, তিনি ওসিয়তকৃত আল্লাহর খলিফা, তবে কেন তিনি আবু বকর, ওমর ও উসমান –রাদিয়াল্লাহু আনহুম- প্রমুখদের নিকট বায়‘আত করেছেন ?!
যদি তারা বলে : তিনি অপারগ ছিলেন, তাহলে অপারগ ব্যক্তি ইমামতের যোগ্য নয়, কারণ ইমামতের দায়িত্ব গ্রহণে যে সক্ষম, সেই তার উপযুক্ত।
যদি তারা বলে : তিনি সক্ষম ছিলেন, কিন্তু তিনি তার জন্য অগ্রসর হননি, তাহলে এটা খিয়ানত।
খিয়ানতকারী কখনো ইমামতের উপযুক্ত নয়! তাকে অধীনদের ব্যাপারে বিশ্বাস করা যায় না। -আলি(রাঃ) এসব থেকে মুক্ত- তোমাদের কোন সঠিক উত্তর থাকলে পেশ কর?
আবু বকর(রাঃ) বা উমর(রাঃ) বা ওসমান(রাঃ) খিলাফত এবং মৃত্যু হয়েছে আলী(রাঃ) উপস্থিতিতে।
তারা যদি কাফের বা জালিম হতেন তবে আলী(রাঃ) কি তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করতেন না???
সবচেয়ে বড় কথা, আলী(রাঃ) যখন খিলাফত গ্রহণ করেন, তখন তিনি তার পূর্বের খলিফাদের কোন বিরোধিতা করেননি। পূর্বের খলিফাদের যুগে মুসলিমদের নিকট সংরক্ষিত কুরআন ব্যতীত অন্য কোন কুরআন তিনি পেশ করেননি। তিনি কুরআনের কোন বিষয়ে মতবিরোধও করেননি।


#মুত্য়া বিবাহ সম্পর্কে শিয়াদের আক্বীদা
(শিয়াদের মতে হাদীসে আছে) যে ব্যক্তি একবার মুত্য়া করবে, সে হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মর্তবা পাবে। যে দুইবার মুত্য়া করবে, সে ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা পাবে, যে তিনবার মুত্য়া করবে, সে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মর্তবা পাবে, যে চারবার মুত্য়া করবে, সে আমার (অর্থাৎ রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মর্যাদা পাবে। (ইরানী ইনক্বিলাব আওর ইমাম খোমেনী পৃষ্ঠা-২৭) নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক।

যদি তুমি বল যে, কুরআন শরীফ-এ স্পষ্টভাবে (হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ইমামতের কথা উল্লেখ করা হলে শায়খাইন (হযরত আবূ বকর ও হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বিরোধিতা করতে পারতো না, তারা এর বিরোধিতা করতে চাইলে সাধারণ মানুষ কুরআন শরীফ-এর বিপরীতে তাদের কথা কবুল করতো না। (খোমেনী বলে) এ ধারণা ভ্রান্ত, কেননা আমরা এ বিষয়ে কয়েকটি উদাহরণ পেশ করেছি, যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আবু বকর ও ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কুরআন শরীফ-এর সুস্পষ্ট বিধানের খেলাফ কাজও করেছেন। এবং সাধারণ মুসলমানগণ তা মেনে নিয়েছেন। (এরপর খোমেনী হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কর্তৃক নবী ওয়ারিছ সত্ব বাতিল ও হযরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কর্তৃক মুত্য়া বিবাহ নিষিদ্ধ করণের সমালোচনা করে) (কাশফুল আসরার পৃষ্ঠা-১১৫)

সাম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা যায় ইরান সরকার তাদের দেশের নাগরিকদের মুত্য়া বিবাহে অগ্রহি করার চেষ্টা করছে।
http://www.dailymail.co.uk/news/article-2730953/Iranian-regime-encouraging-temporary-marriages-combat-growing-numbers-young-people-having-pre-marital-sex.html

#হযরত ওসমান(রাঃ) সম্পর্কে শিয়াদের জঘণ্য কুফরী আক্বীদার প্রমাণ
ইমাম আবূ হানীফা(রঃ) উনার নিকট এক শিয়া এসে বললো, হুযূর আমার দু’টি মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়েছে, আপনার নিকট তো অনেক লোকজন এসে থাকে, যদি দয়া করে দু’টো ভাল ছেলের ব্যবস্থা করে দিতেন তবে খুব উপকৃত হতাম।
আবূ হানীফা(রঃ) বললেন, ঠিক আছে তুমি কিছুদিন পরে এসো। আবূ হানীফা(রঃ) উনার কথামত উক্ত শিয়া কিছুদিন পর উনার সাথে দেখা করলো। তখন আবূ হানীফা(রঃ) তিনি বললেন, তোমার মেয়ের জন্যে দু’টি ছেলে ঠিক করেছি। সে বললো- তারা কোন বাড়ীর? আবূ হানীফা(রঃ) বললেন, অমুক বাড়ীর। তখন শিয়া লোকটি আশ্চর্য হয়ে বললো- হুযূর বলেন কি, তারা তো ইহুদী! তার একথার জবাবে আবূ হানীফা(রঃ) বলেন, “কেন, অসুবিধা কি? স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি এক ইহুদীর (হযরত ওসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) উনার নিকট দু’ মেয়েকে বিয়ে দিতে পারেন তবে তুমি পারবেনা কেন?
তোমরা (শিয়ারা) না বলে থাক, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার দু’মেয়েকে ইহুদীর নিকট অর্থাৎ হযরত ওসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট বিয়ে দিয়েছেন। একথা শুনে শিয়া লোকটি লজ্জিত হলো এবং শিয়া মতবাদ থেকে খালেছ তওবা করলো। (সীরতে ইমামে আযম)
উপরোক্ত ঘটনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, শিয়াদের আক্বীদা মতে হযরত ওসমান জিন নুরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হলেন, ইহুদী। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

#উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা সম্পর্কে খোমেনীপন্থী শিয়াদের আক্বীদা
যখন আমাদের ক্বায়েম (মেহদী আলাইহিস সালাম) আত্মপ্রকাশ করবেন, তখন আয়েশা সিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে জীবিত করে শাস্তি দিবেন এবং আমাদের ফাতেমার প্রতিশোধ নিবেন। (হক্কুল ইয়াক্বীন, পৃষ্ঠা-১৩৯, অনুরূপ ইলালুশ্ শারায়েতে উল্লেখ আছে)। খোমেনী তার কাশফুল আসরার কিতাবে উক্ত কিতাবদ্বয়ের প্রশংসা করে ও কিছু রেওয়ায়েত উল্লেখ করে উক্ত বক্তব্যকে সমর্থন করে।

আয়েশা(রাঃ) ঘরে রাসুল(সঃ) তার অন্য স্ত্রীদের অনুমতি নিয়ে জীবনের শেষ দিন গুলি কাটায় এবং মৃত্যুর পর রাসুল(সঃ)কে আয়েশা(রাঃ) ঘরেই রাসুল(সঃ)কে কবর দেয়া হয়। সূরা আল আহযাব 33:6
নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা।


#পবিত্র কুরআন শরীফ-এর ব্যাপারে খোমেনীপন্থী শিয়াদের আক্বীদা
জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম যে কুরআন নিয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট নাযিল হয়েছিলেন, তাতে সতর হাজার আয়াত ছিল। (উছূলুল কাফী, ফাদলুল কুরআন অধ্যায় পৃঃ-৬৭১)

যে ব্যক্তি দাবী করে যে, তার নিকট সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ রয়েছে যেভাবে তা নাযিল হয়েছিল, সে মিথ্যাবাদী। মহান আল্লাহ পাক উনার নাযিলকৃত কুরআন শরীফ শুধু আলী ইবনে আবী তালিব এবং তার পরে ইমামগণই সংকলন ও সংরক্ষণ করেছেন। (উছূলুল কাফী পৃষ্ঠা-১৩৯)

অথচ আল-কুরআনের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُوْنَ ‘আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতরণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক’ (হিজর ১৫/৯)।


#“যে কেউ মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্য করবে, সে বিরাট সফলতা লাভ করবে।”
এ আয়াত শরীফ প্রসঙ্গে উছূলে কাফীর ২৬২নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে যে, উক্ত আয়াত খানা এভাবে নাযিল হয়েছিল-
যে কেউ আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও উনার পরবর্তী ইমামগণের ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্য করবে, সে বিরাট সফলতা লাভ করবে। এ ব্যাপারে তাদের আক্বীদা হলো- এ আয়াতে হযরত আলী ও তার পরবর্তী সকল ইমামের ইমামত বর্ণিত হয়েছিল। কিন্তু উক্ত আয়াত থেকে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও উনার পরবর্তী ইমামগণের কথাগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমান কুরআন শরীফ-এ নেই। (নাউযুবিল্লাহ)


# নামাজের মাসয়ালা সম্পর্কে খোমেনীপন্থী শিয়াদের আক্বীদা
দ্বিতীয় যে কাজ নামাযকে বাতিল করে দেয়, তা হচ্ছে- নামাজে এক হাতের উপর অপর হাত রাখা, যেমন আমাদের শিয়ারা ব্যতীত অন্যরা করে, তবে তাকিয়ার অবস্থায় এরূপ করলে দোষ নেই। (তাহরীরুল উসীলাহ ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-১৮৬)
নবম যে কাজ দ্বারা নামায বাতিল হয়ে যায়, তা হচ্ছে- সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইচ্ছাকৃতভাবে “আমীন” বলা তবে তাকিয়ার জন্যে বললে দোষ নেই। (তাহরীরুল উসীলাহ ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-১৯০)
"আয়িশাহ (রাঃ)হতে বর্ণিত। নাবী (সাঃ)বলেনঃ ইয়াহুদীরা তোমাদের কোন ব্যাপারে এতো বেশী হিংসা করে না,যতটা হিংসা করে থাকে তোমাদের ‘সালাম’ ও ‘আমীন’ বলার কারনে’’
-ইবন মাজাহ ৮৫৬; আহমাদ ২৫০২৯; ইবন খুজায়মাহ ৫৭৪;বায়হাকী ২/৫৬; আত-তারগীব; ৫১২; সিলসিলাহসাহীহাহ ৬৯১
আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত , রাসুল সাঃ বলেন ,ইমাম যখন আমিন বলবেন ,তখন তোমরা আমিন বল ।কারন যার আমিন ফেরেশতাদের আমিনের সাথে মিলে যাবে ,তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে । বুখারি ৭৮০

# হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি শিয়াদের সুক্ষ্ম কুফরী তোহমত
এটা স্পষ্ট প্রমাণিত যে, শিয়ারা নামায পড়ার সময় আরদ্ বা মাটির উপর সিজ্দা করে থাকে, যার কারণে তারা পকেটে এক টুকরা মাটি বা পাথর রেখে দেয়। নামায পড়ার সময় উক্ত মাটি বা পাথরের টুকরাখানা সিজ্দার স্থানে রেখে উহার উপর সিজ্দা দেয়। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য হলো- “র্আদ বা মাটির উপর সিজ্দা না করলে নামায হবেনা।”
মূলতঃ শিয়াদের উপরোক্ত বক্তব্যখানা সাইয়্যদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সুক্ষ্ম কুফরীর নামান্তর অর্থাৎ তারা উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা এটাই বুঝাতে চাচ্ছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাটাইর উপর, চটের উপর, কম্বলের উপর, চাদরের উপর, চামড়ার তোশকের উপর, কাঠের উপর নামায আদায় করেছেন। অতএব, উনি যে নামাযগুলো র্আদ বা মাটিতে আদায় করেননি, উনার সেই নামাযগুলো হয়নি। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

উপরোক্ত বক্তব্যসমূহের দ্বারা তারা মানুষের মধ্যে সুক্ষ্মভাবে এ কুফরী প্রবেশ করাচ্ছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নামায হয়নি। কারণ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, তিনি নামাজে হাতের উপর হাত রেখেছেন এবং সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর “আমীন” বলেছেন এবং র্আদ বা মাটির উপর সিজ্দা দেননি। সুতরাং হয় উনার নামায হয়নি অথবা উনি তাকিয়া বা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। (নাউযুবিল্লাহ মিন্ যালিক)

# শিয়াদের নিকট তাক্বিয়ার গুরুত্ব
“তাক্বিয়া” শিয়াদের নিকট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিয়ারা নিজের দোষ গোপন রাখার জন্যে এবং অপরকে ধোকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে যেকোন সময় যেকোন স্থানে “তাক্বিয়া” বা মিথ্যার আশ্রয় নেয়। তাদের ইমামরাও স্থান বিশেষে তাক্বিয়ার আশ্রয় নেয়। তাই শিয়া মায্হাবে তাক্বিয়া করা জায়েয তো বটেই বরং স্থান বিশেষে অবশ্য কর্তব্য।
অথচ হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, “যে ধোকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।”
হাদীস শরীফে আরো এরশাদ হয়েছে,
“মিথ্যা সকল গুণাহর মা বা মূল।”
শরীয়তের ফায়সালা হলো- ধোকা দেওয়া ও মিথ্যা বলা হারাম, আর হারামকে হালাল বা জায়েয মনে করা কুফরী। অতএব, “তাক্বিয়া” বিশ্বাস করা ও “তাক্বিয়া”কে জায়েয মনে করা কুফরী।

# মাজার
ইরাক এবং ইরান জুড়ে শিয়াদের রয়েছে প্রচুর মাজার যেখানে গিয়ে তারা কবরে থাকা ব্যক্তিদের নিকট সাহায্য কামনা করে। এমনকি ইরাকের শিয়া প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি(ইরানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু) তো কারবালাকে মুসলিমদের কিবলা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
প্রমানঃ https://www.youtube.com/watch?v=LI7VyYwRgmQ


#ইরানে শিয়াদের ভণ্ডামির একটা নমুনা
শিয়ারা ইরানে কা'বা ঘর নির্মাণ করে সেখানেই কি রঙ তামাশা করতেছে নিজে চোখে দেখুন।
প্রমানঃ https://www.facebook.com/video.php?v=1479187825665182

# প্রাণীর ছবি সম্পর্কে শিয়াদের আক্বীদা
“শিয়াদের মতে প্রাণীর ছবি আঁকা হারাম আর তোলা জায়েয।” আর উক্ত তোলা ছবি ঘরে রাখা, তার উপস্থিতিতে নামায পড়াও জায়েয। তাই শিয়ারা তাদের ইমামদের ছবি ঘরে, অফিস-আদালতে এমনকি মসজিদেও লটকিয়ে রাখে।
অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য বা আক্বীদা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার সম্পূর্ণ খেলাফ। কারণ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হলো- প্রাণীর ছবি আঁকা, তোলা, ঘরে রাখা সম্পূর্ণই হারাম। যা অসংখ্য, অগণিত সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। আর পূর্বেই বলা হয়েছে, হারামকে হালাল আর হালালকে হারাম বলা কুফরী। অতএব প্রাণীর ছবি সম্পর্কে শিয়াদের উপরোক্ত আক্বীদাও কুফরীর অন্তর্ভূক্ত।

সূরা আত তাওবাহ 31
"তারা তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদিগকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে … "
আল্লাহ্‌র রাসুল(সাঃ)যখন এই আয়াতটি পড়ছিলেন তখন আদি বিন হাতিম(রাঃ) বলেন “হে আল্লাহ্‌র রাসুল! তারাতো রাবি এবং আলেমদের উপাসনা করে না।” তখন আল্লাহ্‌র রাসুল বলেন, “নিশ্চয়ই তারা তা করে। তারা(রাবি এবং আলেমরা) হালালকে হারাম আর হারামকে হালাল বানায় এবং তারা(ইহুদি এবং খ্রিস্টানরা) তাদের অনুসরন করে এবং অনুসরন করেই তারা তাদের উপাসনা করে” (আহমাদ, আত-তিরমিজি এবং ইবন জারির ) (তাফসীর এই তাবারি ভলিউম ১০ পৃষ্ঠা ১১৪ )

অতএব, শিয়াদের উপরোক্ত কুফরী আক্বীদাসমূহের ভিত্তিতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার ভিত্তিতে, ইছনা আশারা দল উপদল সকলই কাফের। কারণ তারা সকলেই উল্লেখিত কুফরী আক্বীদাসমূহে পূর্ণ বিশ্বাসী।

সুতরাং অকাট্য ও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, শিয়া বা রাফেজী সম্প্রদায়ের সকলেই কাফের।
ফতওয়ায়ে আলমগীরীর রায়- “এরা (রাফেজী/শিয়ারা) দ্বীন ইসলাম বহির্ভূত এবং শরীয়তে তাদের বিধান মুরতাদের ন্যায়। (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-২৬৮-২৬৯)
সুতরাং যারা অকাট্য দলীলের ভিত্তিতে কাফের প্রমাণিত, তাদের মুসলমান ভাই বলাও কুফরী। কারণ শরীয়তের বিধান হলো- বিনা দলীলে কোন মুসলমানকে কাফের বলা যেরূপ কুফরী, তদ্রুপ অকাট্যভাবে প্রমাণিত কোন কাফেরকে মুসলমান বলাও কুফরী। অতএব, কেউ যদি শিয়াদেরকে মুসলমান ভাই বলে, তবে সেও কাফের হবে।



হাফেজ মাওলানা মুফতি মনোয়ার হোসেন সাহেবের ব্লগ থেকে নেওয়া ।

পেশ ঈমাম,বাইতুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদ-বগুড়া। পরিচালক,মাদরাসাতুল মাদীনাহ-বগুড়া।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages